ঝুঁকির পথেই যাতায়াত সাঁতরাগাছির দুশো পরিবারের

ঝুঁকির পথেই যাতায়াত সাঁতরাগাছির দুশো পরিবারের

ঝুঁকির পথেই যাতায়াত সাঁতরাগাছির দুশো পরিবারেরবিদ্যুত আছে। দুশোটি পরিবারের জন্য আছে পানীয় জলের বন্দোবস্তও। কিন্তু, নেই রাস্তা। পথ বলতে রেললাইন। আর সেই `পথ` ধরে যাতায়াতে প্রায়শই ঘটে দুর্ঘটনা। এভাবেই গত পঁচিশটা বছর কাটিয়ে দিয়েছে সাঁতরাগাছির মৌখালি হালদারপাড়া। জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার সেতু তৈরির আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। 

সাঁতরাগাছির মৌখালি হালদার পাড়া। বছর ২৫ আগে প্রায় ২০০ পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠে এই বসতি। সময়ের হাত ধরে মৌখালি হালদারপাড়ায় পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুত, পানীয় জল। কিন্তু, এখনও হালদার পাড়ায় পৌঁছয়নি রাস্তা। পথ বলতে রেললাইনই ভরসা।

হালদার পাড়া থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। ঝকঝকে রাস্তার পাশে মাথা তুলেছে ঝাঁ চকচকে বহুতল। কিন্তু, সেই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে এখনও বঞ্চিত হালদার পাড়া। স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল, যেখানেই যান না-কেন, ধরতেই হয় রেললাইনেক পথ। জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার একটা সেতুর জন্য দরবার করেছেন হালদার পাড়ার বাসিন্দারা। কোনও লাভ হয়নি।

সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগমও। কিন্তু, যেখান দিয়ে সেতু তৈরি করা সম্ভব, সেই খালটি সেচ দফতরের। তাই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে না বলেই মনে করেন তিনি।

শনিবারই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সাঁতরাগাছি স্টেশন। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। হালদারপাড়াও বহু মানুষকে হারিয়েছে হাওড়া-খড়গপুর মেইন লাইনের এই আধ কিলোমিটার রেললাইনে। 

First Published: Sunday, April 1, 2012, 19:38


comments powered by Disqus